ঈদের ছুটি শেষে জীবিকার তাগিদে রাজধানীমুখো মানুষের ঢল, এবার বাড়তি চাঁপ ।
খবরের সময় ডেস্ক
বরিশাল নদী বন্দরে ঢাকামুখী মানুষের পদচারণায় ভিন্ন পরিবেশের তৈরি হয়েছে।ঈদ-উল আযহার ছুটি শেষে সোমবার বিলাসবহুল লঞ্চ সহ ৭টি লঞ্চ যাত্রী বোঝাই করে বরিশাল নদী বন্দর ত্যাগ করেছে।প্রত্যেকটি লঞ্চেই স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ডেকের যাত্রীদের ঠাসাঠাসি করে লঞ্চগুলো পরিচালিত হয়েছে।প্রত্যেক বছর যাত্রী চাপ বিবেচনায় প্রায় ২৪টি লঞ্চ যাত্রী পরিবহন করলেও এবার তার নেমে এসেছে তিন ভাগের এক ভাগে।বরিশাল নদী বন্দরে গিয়ে দেখা যায়, টার্মিনালে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে যাত্রীদের নানান ভাবে সচেতনার কথা বলা হলেও লঞ্চের ভিতরে ডেকে কোনো ভাবেই মানা হচ্ছে না।সামাজিক দূরত্ব তো দূরের কথা মাস্ক ব্যবহার ছাড়াই যাত্রীরা যে যার মতো চলাফেরা করছেন।
কেবলমাত্র কেবিনের যাত্রীরাই কিছুটা স্বস্তিতে যেতে পারছেন লঞ্চ যোগে।একই অবস্থা বিআইডব্লিউটিসি’র নৌযানের ক্ষেত্রে। সংস্থার এমভি বাঙ্গালী মোড়েলগঞ্জ থেকে যাত্রী পরিবহন করে সন্ধ্যায় বরিশাল নদীবন্দরের যাত্রী নিয়ে রাজধানীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।প্রায় ৪ শতাধিক যাত্রী নিয়ে নদী বন্দর ত্যাগ করলেও স্বাস্থ্য বিধির বিষয়টি মানা হয়নি।সচেতন যাত্রীরা জানান ডেকে কোনো ভাবেই স্বাস্থ্য বিধি মানা হচ্ছে না।রুটি-রুজির তাগিদে বাধ্য হয়েই ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চের যাত্রী হয়েছেন বলে জানান একাধিক কর্মজীবী মানুষ।এদিকে যাত্রীদের নিরাপত্তায় বন্দর ও টার্মিনাল এলাকায়, আনসার, বিআইডব্লিউটিএ প্রশাসন, কোষ্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিসের সদস্য, মেট্রোপলিটন পুলিশ, নৌ-পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, সাদা পোশাকধারী পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হুদা সরকার মিঠু জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ঈদে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের সতর্কতার সাথে যাত্রা করার জন্য নানান উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে যাত্রীদের বার বার সচেতনতার তাগিদ দেয়া হচ্ছে। মাইকে ঘোষণা দিয়ে স্বাস্থ্য বিধির বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য সকলকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে। তিনি জানান গতকাল সুন্দরবন-১১, এডভেঞ্চার-৯, কুয়াকাটা-২, পারাবত-৯ ও ১১, সুরভী-৯, কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চ যাত্রী নিয়ে বরিশাল নদী বন্দর ত্যাগ করেছে।